অন্যান্য

প্রেমিকার ফোন বেস্ত পাওয়ায় বিদ্যুতের লাইন কেটে দিলো প্রেমিক

সিনেমার পর্দায় দেখা অতিমাত্রায় নাটকীয় প্রেম কাহিনি অনেক সময় বাস্তব জীবনেও প্রভাব ফেলে। আর যখন সেই প্রেম বাস্তবের মাটিতে যুক্তিবিহীন হয়ে ওঠে, তখন তা ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাতেও দ্বিধা করে না।

 

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও দেখে অনেকেই হতবাক। ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক যুবক বৈদ্যুতিক খুঁটির উপর উঠে একের পর এক হাইটেনশন লাইনের তার কেটে দিচ্ছেন।

 

 

দাবি করা হচ্ছে, প্রেমিকার মোবাইল ফোন সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকায় তার রাগ এতটাই বেড়ে যায় যে সে পুরো গ্রামকেই বিদ্যুৎহীন করে ফেলে। তাও শুধু প্রেমিকার মনোযোগ পাওয়ার জন্য!

 

যদিও ভিডিওটি কোনো এলাকার তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি, তবুও ভিডিওতে যুবকের কর্মকাণ্ড এবং তারপরে ঘটে যাওয়া বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার দৃশ্যই ভাইরাল হয়েছে।

 

এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘অনেক প্রেমিককে দেখেছি কিন্তু এই প্রথম প্রেমের জন্য এমন পাগল প্রেমিক দেখলাম। একজন আবার মজা করে লিখেছেন, ‘প্রেমের ক্ষোভে প্রেমিকরা সাধারণত নিজেদের হাতের শিরা কেটে ফেলে। এ তো গোটা গ্রামের শিরা কেটে ফেলল।’

 

অন্য এক নেটিজেন-এর মতে, ‘কথায় বলে প্রেমে অন্ধ কিন্তু এর প্রেমে এখন গোটা গ্রাম অন্ধ।’

 

তবে এই ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ সালে ভারতের বিহারের পূর্ণিয়া জেলার গণেশপুর গ্রামে একটি অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও এক ব্যক্তি প্রতিদিন সন্ধ্যায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতেন, যাতে আঁধারের সুযোগে তিনি গোপনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও, ওই গ্রামে কয়েক ঘণ্টার জন্য হঠাৎ অন্ধকার নেমে আসত।

 

আরডি

 

 

ট্যাগ :

প্রেমিকা

প্রেমিক

বিদ্যুৎ

সংযোগ

Share With ➤

সম্পর্কিত:

 

জাপানে ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে দাদি-নানি

একাকিত্ব কাটাতে অভিনব এক কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে জাপানে। ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে দাদি-নানি। ‘ওকে গ্রান্ডমা’ নামে একটি ব্যতিক্রমী পরিষেবার মাধ্যমে মানুষ এখন চাইলে নিজেদের প্রয়োজন ও আবেগ পূরণের জন্য একজন ‘দাদি’ ভাড়া নিতে পারেন। এই উদ্যোগটি শুরু করেছে টোকিওভিত্তিক সংস্থা ক্লায়েন্ট পার্টনার্স। পরিষেবার আওতায় ৬০ থেকে ৯৪ বছর বয়সি প্রবীণ নারীরা নিযুক্ত হন—যারা রান্না, ঘর পরিষ্কার, সম্পর্ক-সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া, কিংবা নিছক সঙ্গ দেওয়া থেকে শুরু করে বিয়ে, খেলাধুলা বা সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দিতেও প্রস্তুত।একাকীত্ব দূর করতে এটি খুব প্রয়োজনীয় একটি পরিষেবা। জাপানের শহরাঞ্চলে অনেকেই নিঃসঙ্গতায় ভোগেন। এমন পরিস্থিতিতে একজন ‘দাদি’ হয়ে ওঠেন পারিবারিক উষ্ণতার প্রতীক। এ ছাড়াও প্রবীণ নারীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি হয়। যারা অবসরের পরও সমাজের কাজে যুক্ত থাকতে চান, তাদের জন্য এটি অর্থ উপার্জন ও সামাজিক সম্পৃক্ততার এক দারুণ পথ।এই পরিষেবার খরচও সাধ্যের বাইরে নয়। ঘণ্টাপ্রতি মাত্র ৩,৩০০ ইয়েন (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭০০ টাকা)। অতিরিক্ত ৩,০০০ ইয়েন পরিবহন ও অন্যান্য খরচ বাবদ। জাপানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে—এখন প্রতিজন ব্যক্তির মধ্যে অন্তত একজন প্রবীণ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘ওকে গ্রান্ডমা’ শুধু ব্যবসা নয়, বরং এক আন্তঃপ্রজন্ম সেতুবন্ধন তৈরি করছে।সামাজিক বিশ্লেষক মারিকো তানাকা বলেন, এটি শুধু একটি সার্ভিস নয়, বরং সমাজের ছিন্ন হয়ে যাওয়া বন্ধনগুলো আবার জোড়া লাগানোর প্রচেষ্টা।এফএস

 

গ্রীষ্মের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও রঙিন রাত আজ: দেখা যাবে খালি চোখেই

আকাশপ্রেমীদের জন্য দারুণ এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সন্ধ্যা অপেক্ষা করছে আজ সোমবার (২৮ জুলাই)। এদিন সূর্যাস্তের মাত্র ৪৫ মিনিট পর পশ্চিম আকাশে দেখা যাবে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য; একসঙ্গে দেখা মিলবে বাঁকা চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের। সঙ্গে যোগ হবে একাধিক উল্কাবৃষ্টি। এক কথায়, এটি হতে চলেছে গ্রীষ্মের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও রঙিন রাত।প্রায় ১৯% আলোকিত একটি বাঁকা চাঁদ অবস্থান নেবে মঙ্গলের একেবারে পাশে, মাত্র ১ ডিগ্রির ব্যবধানে – যেটা আপনার ছোট আঙুলের মতো দূরত্ব মনে হবে যদি আপনি ভালো করে আকাশের দিকে তাকান। পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকেই এটি দেখা যাবে, তবে খোলা মাঠ, পার্ক বা দূষণমুক্ত জায়গা থেকে দেখলে এর সৌন্দর্য আরও বেশি উপভোগ্য হবে। যদিও মঙ্গলগ্রহ বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময় পেরিয়ে এসেছে, তবে এটি এখনো আকাশে লালচে এক উজ্জ্বল বিন্দুর মতো পরিষ্কার দেখা যায়।চাঁদ তখন প্রদর্শন করবে ‘আর্থশাইন’—অর্থাৎ চাঁদের অন্ধকার পাশটি পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত সূর্যালোকে আলোকিত হবে, যা এক ধরনের ভৌতিক, মায়াময় আলো তৈরি করবে। এই দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যটি যখন চোখে পড়বে, তখন একাধিক উল্কাবৃষ্টি রাতের আকাশকে করে তুলবে আরও জমজমাট।এ ছাড়া ভোরে সর্বোচ্চ তীব্রতায় দেখা যাবে পিসিস অস্ট্রিনিড উল্কাবৃষ্টি। যদিও এটি অপেক্ষাকৃত ছোট একটি উল্কাবৃষ্টি। প্রতি ঘণ্টায় পাঁচটি পর্যন্ত উল্কা দেখা যেতে পারে। তবে এটি শুধু শুরু—আরও তিনটি উল্কাবৃষ্টি কাছাকাছি সময়ে দেখতে পাওয়া যাবে। এরপর আগামী দুদিন রাতজুড়ে আরও দুটি উল্কাবৃষ্টি—ডেলটা অ্যাকুয়ারিড ও আলফা ক্যাপরিকর্নিড দেখা যাবে। ডেলটা অ্যাকুয়ারিডের পিক টাইমে আকাশ পরিষ্কার থাকলে প্রতি ঘণ্টায় ২০টির মতো উল্কা দেখা যেতে পারে। এর পাশাপাশি আলফা ক্যাপরিকর্নিড আরও পাঁচটি উল্কা যোগ করবে প্রতি ঘণ্টায়।আরও একটি ভালো খবর হচ্ছে, চাঁদ ও মঙ্গল সূর্যাস্তের পর আকাশে মাত্র দুই ঘণ্টা থাকবে। তারপর ডুবে যাবে দিগন্তের নিচে। ফলে রাতভর আকাশে থাকবে না কোনো চাঁদের আলো—উল্কাবৃষ্টি দেখার জন্য এ এক চমৎকার সুযোগ। সবচেয়ে বড় চমক হলো পার্সিয়েডস—বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল উল্কাবৃষ্টি। এটি দেখতে জুলাইয়ের শেষের রাতগুলোই সবচেয়ে ভালো সময়।এসকে/আরআই

 

১৬,৮২০ কোটি ডলারের মালিক, পুরো সম্পদ দান করবেন জীবদ্দশাতেই

বিলিয়নেয়ারদের মাঝে তিনি এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। বিলাসিতার মোহ নেই, নেই আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপন। অথচ সম্পদের দিক দিয়ে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন। তিনি ওয়ারেন বাফেট—‘ওরাকল অব ওমাহা’ নামে পরিচিত এই বিনিয়োগ জাদুকরের অন্য বিলিয়নেয়ারদের মতো চাকচিক্য নেই। প্রয়োজনের অধিক খরচ করেন না। অনেক বিলিয়নেয়ারের মতো, তিনি কখনও বিলাসিতায় আকৃষ্ট হননি। অকারণে উড়াননি টাকা। পছন্দ করেন ফাস্ট ফুড। ৯৪ বছর বয়সী বাফেট এখনও থাকেন ১৯৫৮ সালে কেনা ওমাহার পুরনো বাড়িতে। প্রতিদিন পান করেন পাঁচ ক্যান কোকা-কোলা, পছন্দ করেন ম্যাকডোনাল্ডসের খাবার এবং অবসরে উকুলেলে বাজাতে ভালোবাসেন। তার বিনিয়োগ দক্ষতা ও সরল জীবনযাপন তাকে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত করেছে ‘ওরাকল অব ওমাহা’ নামে।বাফেট বর্তমানে ১৬ হাজার ৮২০ কোটি ডলারের মালিক। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২০ লাখ ৫০ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। তাই বেঁচে থাকতেই সম্পদের একটি সুরাহা করে যেতে চান। বলেছেন, এ সম্পদের প্রায় পুরোটাই তিনি দান করে যাবেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তার উত্তরাধিকার: বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে তার কোম্পানি। নেব্রাস্কাভিত্তিক এই কোম্পানিটির আছে বিভিন্ন হোল্ডিং, রয়েছে ডুরাসেল ব্যাটারি থেকে শুরু করে বীমাকারী গেইকো, রঙের ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে হীরা পর্যন্ত। কোম্পানিটি কোকা-কোলা এবং শেভরনের মতো মার্কিন কর্পোরেট জায়ান্টগুলিতে সাবধানে অংশীদারিত্ব ধারণ করে। ওয়ারেন বাফেটের বয়স এখন ৯৪ বছর। কত আর! বয়স তাকে আর সাপোর্ট দিচ্ছে না। তাই তিনি নিজের তৈরি কোম্পানি থেকে সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। শনিবার ঘোষণা করেছেন, তিনি এ বছরের শেষে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন। তার নির্বাচিত উত্তরসূরি গ্রেগ অ্যাবেলকে বার্কশায়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত করার সুপারিশ করবেন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের রিয়েল-টাইম ধনীদের তালিকা অনুসারে, শনিবার পর্যন্ত বাফেটের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬৮.২ বিলিয়ন ডলার – যা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম সম্পদ। তবুও তিনি এখনও ওমাহার একটি শান্ত পাড়ায় একই বাড়িতে থাকেন। তিনি ১৯৫৮ সালে ৩১,৫০০ ডলারে কিনেছিলেন এই বাড়ি। তাকে আলিশান স্বপ্ন বিমোহিত করেনি। সেই বাড়িতেই পুরো জীবন কাটিয়ে দিলেন। চাইলে তিনি আকাশচুম্বী অথবা আরও বিলাসী কোনো বাসায় সময় কাটাতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। খাবারের বিষয়ে নিঃসন্দেহে তিনি খুবই বাছাই করে চলেন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার ম্যাকডোনাল্ডস চিকেন ম্যাকনাগেটস, স্ন্যাকসের জন্য আলুর কুঁচি, ডেজার্টের জন্য আইসক্রিম এবং প্রতিদিন গড়ে পাঁচ ক্যান কোকা-কোলা পান করেন। তার শখের মধ্যে রয়েছে ব্রিজ এবং উকুলেলে বাজানো। ২০১৩ সালে সিবিএসকে বাফেট বলেছিলেন, আমার অভিনব পোশাকের দরকার নেই। আমার অভিনব খাবারের দরকার নেই। তবুও ২০০৬ সালে স্বীকার করেন তার একটি ব্যক্তিগত জেট ছিল। এই খাতে যে ব্যয় তা তার জীবনকে আরও সহজ করে তুলেছে।দানশীলতা: একই বছর, বাফেট ঘোষণা করেন তিনি তার সম্পত্তির ৯৯ শতাংশ জনহিতকর কাজে দান করবেন। তার বন্ধু এবং অংশীদার বিল গেটসের সাথে যোগ দিয়ে পরবর্তীতে অন্য বিলিয়নেয়ারদের তাদের সম্পদের অন্তত অর্ধেক দান করার প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি করান বাফেট। এই ধরনের প্রচারণা বাফেটকে মার্কিন সমাজের একজন প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। এই ঘটনা প্রতি বসন্তে ওমাহায় বার্কশায়ারের বার্ষিক সভায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে সাহায্য করেছে। এই সমাবেশকে ‘উডস্টক ফর ক্যাপিটালিস্টস’ বলা হয়। বাফেট অতীতে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে সমর্থন করার বিষয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলেছেন। প্রায়শই এই মতামত প্রকাশ করেছেন যে, তার সম্পদের কারণে তার কর আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল।প্রাথমিক ব্যবসায়িক প্রবৃত্তি: তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় হিসেবে ১৯৩০ সালের ৩০শে আগস্ট ওমাহায় জন্মগ্রহণকারী বাফেট ছোটবেলায় ‘ওয়ান থাউজেন্ড ওয়েজ টু মেক ১,০০০ ডলার’ বইটি পড়ার পর ব্যবসার প্রতি তার আগ্রহ তৈরি হয়। বাফেটের শৈশব খুব একটা সহজ ছিল না। তিনি বর্ণনা করেছেন, দোকানপাট চুরির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল তার সময়। তার মা নির্যাতন করতেন। তবু তার সঙ্গে থাকতে হতো। বাফেট তার পড়াশোনা ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু তার পিতা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। কংগ্রেসে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাফেটের পড়া ছেড়ে দেয়ার ধারণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তিনি। বাফেট নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে তিনি ব্যবসায় ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি ১৯৫১ সালে নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।বাফেট ১৯৫০-এর দশকে ওয়াল স্ট্রিটে কাজ করেছিলেন। বাফেট পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন- যা ১৯৬৫ সালে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সাথে একীভূত হয়। এটা তখন ছিল একটি টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠান। তিনি বার্কশায়ারকে একটি সুদূরপ্রসারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। এই প্রতিষ্ঠান জ্বালানি, ব্যাংকিং, বিমান ভ্রমণ এবং খাদ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগের জন্য পরিচিত। সিটিগ্রুপ, ক্রোগার, অ্যাপল এবং আমেরিকান এক্সপ্রেসের মতো প্রতিষ্ঠানের মালিকানাও এর মধ্যে রয়েছে।৯০ এর দশকে সক্রিয়: ক্লাসিক ধূসর স্যুট, চশমা এবং রঙিন টাই পরা সাদা চুলের বাফেট তার ৯০ এর দশকেও মার্কিন ব্যবসায়িক দৃশ্যপটে একজন প্রাণবন্ত মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তার ভাইস চেয়ারম্যান চার্লি মুঙ্গারের সাথে বার্কশায়ার পরিচালনা করেছেন। তারপর ২০২১ সালে যখন বাফেট ৯০ বছর বয়সে পা রাখেন, তখন বার্কশায়ার আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাবেলকে তার উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করেন। সেই পরিকল্পনা এখন কার্যকর হতে চলেছে। বাফেট ১৯৫২ সালে তার প্রথম স্ত্রী সুসানকে বিয়ে করেন। তাদের তিনটি সন্তান হয়। তবে এই দম্পতি কয়েক দশক ধরে আলাদা বসবাস করেন। তবু ২০০৪ সালে সুসানের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন।পরবর্তীতে ২০০৬ সালে দীর্ঘদিনের সঙ্গী অ্যাস্ট্রিড মেনকসকে বিয়ে করেন বাফেট।এসকে/আরআই

 

ভাষা দিবসে জানুন বাংলা নিয়ে ৮টি অবাক করা তথ্য

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্য এদিন শহিদ হয়েছিলেন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার-সহ আরও অনেকে। গোটা বিশ্বের বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষীদের জন্য এই দিনটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক। আজ মহান দিনে জেনে নিন বাংলা ভাষা সম্পর্কে ১০টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেটা প্রত্যেক বাঙালির জানা উচিত।১. বিশ্বের অন্যতম প্রচলিত ভাষাবাংলা বিশ্বের পঞ্চম সর্বাধিক কথিত মাতৃভাষা। মোট বাংলাভাষীর সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের সপ্তম সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা।২. ২৫ কোটি মানুষ বাংলায় কথা বলেনবাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসমের বরাক উপত্যকায় বাংলা প্রধান ভাষা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলাভাষীর সংখ্যা প্রায় ২৫ কোটিরও বেশি। দিন দিন সংখ্যা বাড়ছে।৩. ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষাহিন্দির পরেই বাংলা ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসমের বরাক ভ্যালিতে এটা প্রধান সরকারি ভাষা। ২০১১ সালে ঝাড়খণ্ড সরকার বাংলাকে দ্বিতীয় সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেয়।৪. আধুনিক বাংলা ভাষার ভিত্তিউনিশ এবং বিশ শতকে বাংলা ভাষার আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। প্রধান কলকাতাকে কেন্দ্র করে ভাষার বিবর্তন শুরু হয়। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষা মৃলত নদিয়া এবং কুষ্টিয়া জেলার উপভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি।৫. পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বাংলা ভাষার পার্থক্যদুই বাংলার ভাষা একটু আলাদা। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা এবং বাংলাদেশের বাংলা ভাষার মধ্যে কিছু কিছু আঞ্চলিক পার্থক্য রয়েছে। যেমন পশ্চিমবঙ্গে জলকে জল বলা হয় কিন্তু বাংলাদেশে জলকে পানি বলা হয়।৬. বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক গুরুত্ববাংলা ভাষার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পরিবর্তে উর্দু করার সিদ্ধান্ত নেয় জিন্না সরকার। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। ভাষার জন্য শহিদ হয়েছিলেন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার-সহ অনেকে। তাঁদের বলিদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে।৭. বাংলা সাহিত্যের স্বর্ণালী ইতিহাসবাংলা সাহিত্যের স্বর্ণযুগ শুরু হয় উনিশ শতকে। যাকে বাঙালির রেনেসাঁ বা নবজাগরণ বলা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম বাঙালি হিসাবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। এছাড়াও কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বহু সাহিত্যিক এই সময়ে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেন।৮. বাংলা ভাষার প্রাচীন ইতিহাসবাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রাচীন ইতিহাস ১০০০-১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ, তারপর মধ্যযুগ ১৩৫০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ এবং আধুনিক যুগ হল উনবিংশ শতক থেকে বর্তমান।এমআর-২

 

যুক্তরাজ্যে ভালোবাসা দিবসে ব্যতিক্রমী আয়োজন

যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস সাফারি পার্কের প্রাণীদের নিয়ে এক অন্যরকম ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিডল্যান্ডস-ভিত্তিক কোম্পানি, সুইজেলস দ্বারা তৈরি আইকনিক ‘মিষ্টি’ দিয়ে ছোট-বড় ও বিশেষ প্রাণীদের নিয়ে ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়। এই পার্কের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা তাদের হাতের তৈরি লাভ হার্টস দিয়ে সাজিয়েছিলেন প্রাণীদের এবং সেখানে প্রতিটি প্রজাতির প্রানীদের জন্য আলাদা বার্তাও লিখে দেওয়া হয়। বিশাল আকারের খাবারগুলি প্রাণীদের জন্য একটি রোমাঞ্চকর পরিবেশ তৈরি করে। সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী বিভাগের প্রধান অ্যাঞ্জেলা পটার বলেন, যদিও আমাদের কিছু প্রাণী জোড়া বা পালের মধ্যে বাস করে, সংরক্ষণ প্রজনন কর্মসূচিগুলি বন্যপ্রাণী পার্কগুলির উপরও নির্ভর করে যেখানে সমস্ত মহিলা গোষ্ঠী এবং অবিবাহিত গোষ্ঠীর যত্ন নেওয়া হয়। এই প্রাণীগুলি সুস্থ জনসংখ্যা বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের কিছু প্রাণী আছে যাদের বন্ধুত্বের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধন রয়েছে। তারা বহু বছর ধরে একসাথে বসবাস করছে তাই তারা ‘প্রেমিক দিবস’ উদযাপন করছে এবং একে অপরের সাথে তাদের হৃদয়ের উপহার ভাগাভাগি করে নিতে পেরে খুশি। পার্কের অনেক প্রজাতি বন্য অঞ্চলে বিলুপ্তির ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে তালিকাভুক্ত, তাই এই প্রাণীদের অনেকের সাথে সম্পর্ক তাদের প্রজাতির বেঁচে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

যে মুরগির একটি ডিম কিনতে গুনতে হবে ১৬শ’ টাকা!

মুরগি বা চিকেন খাবার হিসেবে প্রায় সব দেশেই জনপ্রিয়। দামও মানুষের অনেকটা নাগালের মধ্যে। তবে মুরগির ঝোল কিংবা ঝাল ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন বা রোস্ট যেভাবেই পাখি প্রজাতির এই প্রাণীটির মাংস খাওয়ার কথা ভাবতে পারেন একজন সাধারণ বাংলাদেশি, তাতে কালো মুরগির কথা ভাবেন না প্রায় কেউই। কারণ খুব সাধারণ, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে কালো মুরগি পরিচিত নয়। কিন্তু এই কালো মুরগিকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুরগি। আর যে মুরগিই এত দামি তার ডিমতো ১৬শ’ টাকা দাম হবেই।এবার তাহলে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি এই মুরগির মূল্যটা জেনে নিন। এই এক মুরগির দাম নাকি কয়েক লাখ টাকা। শুনে চোখ কপালে ওঠার মতোই অবস্থা। না, আপনি ভুল পড়েননি। ইন্দোনেশিয়ার জাভা দীপে বেড়ে ওঠে বিরল এই মুরগির নাম আইয়াম চিমানি। আইয়াম অর্থ মুরগী আর চিমানি মানে সম্পূর্ণ কালো। বাস্তবে এই মুরগি দেখতে একদমই কালো। এই মুরগির হাড়, মাংস, এমনকি জিহ্বা-সবই কালো। শুধুমাত্র রক্ত অন্যান্য প্রাণীর মতোই লাল। তবে কেনো এই মুরগির সব অঙ্গপ্রতঙ্গ কালো? বিজ্ঞানীরা বলেন, ফাইব্রোমেলানোসিস নামের জেনেটিক মিউটেশন থেকে এই মুরগির রং কালো হয়ে থাকে। অন্যান্য জাতের মুরগির গায়ের রঙের জন্য শুধুমাত্র কয়েকটি কোষ দায়ী। আর আইয়াম চিম্যানির পুরোপুরি কালো হওয়ার পেছনে কারণ হলো এর প্রায় সব কোষের পিগমেনটেশন।যুক্তরাষ্ট্র, চায়না, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, নেদারল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ নানা মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার এই মুরগি সংগ্রহ করেন। অনেকে এর বাচ্চা কিনে লালন পালন করেন। পুরো মুরগি কালো হলেও এই মুরগির ডিম কিন্তু কালো নয়। সাধারন ডিমের মতোই এর রঙ। ইন্দোনেশিয়ায় এই মুরগীর সর্বোচ্চ দাম দুই হাজার থেকে ছয় হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশি টাকায় যা ছয় লাখ টাকার বেশি। প্রতিটি ডিমের দাম ১৬ ডলার যা ১৬০০ টাকার বেশি।ইন্দোনেশিয়ার বাইরে একেক দেশে একেক দামে বিক্রি হয় এটি। যুক্তরাষ্ট্রে যদিও আইয়াম চিম্যানি ২০০০ থেকে ৩০০০ ডলারে বিক্রি হয়। তবে ভালো মানের মুরগি ৯ থেকে দশ হাজার ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে ভালো মান বোঝা যায় মুরগির মুখ ও জিহ্বা কতটা কালো তা দেখে। যত কালো তত ভালো। খুবই শান্ত ও অনুগত স্বভাবের এই মুরগীর এতো বেশি দামের মূল কারণ মূলত এর মাংস। চর্বিহীন এই প্রাণীর মাংসের স্বাদ জাদুকরী।সাধারণ মুরগির মাংসের চেয়ে এই মাংসে আছে অনেক বেশি প্রোটিন। যার কারণে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এটি অনেক বেশি পছন্দ করেন। এছাড়াও ভিটামিন এ ডি ই, আয়রন ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টিগুণ আছে এতে। আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‌্যরডিকেলের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। শুধুমাত্র খাবার হিসেবেই নয় এই মুরগির বিভিন্ন অংশ ওষুধ ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও ব্যবহার করা হয়। ইন্দোনেশিয়ানদের অনেকে এটিকে দামী পোষা প্রাণী হিসেবে বাড়িতে পুষে থাকেন। ইন্দোনেশিয়ায় এই মুরগিটি মোটামুটি পরিচিত হলেও, অন্যান্য দেশে এগুলো হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হয়। এটি স্পোর্টস চিকেন নামেও বিখ্যাত।প্রাণীটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক ধরনের বিশ্বাস প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, কালো রঙের কারণে এরা সুপারন্যাচারাল ক্ষমতার অধিকারি এবং পৃথিবীব্যাপী বিচরণ করতে পারে। এই মুরগির প্রথম ডিম খেলে সন্তানধারণ হয় বলেও স্থানীয়দের বিশ্বাস। তবে কোনো দম্পতি চাইলে প্রথম ডিমটি টাকা ছাড়াই তাদের দিয়ে দেন ইন্দোনেশিয়ানরা। বিভিন্ন ওষুধের কাজে এই মুরগি ব্যবহার করা হলেও তার নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম। এটি অসুস্থ্য হলে কালো রঙ ধীরে ধীরে বিবর্ণ হতে শুরু করে। তাই এই মুরগিকে সুস্থ্য রাখতে হলে অবশ্যই খুব সাবধানে এবং যত্ন সহকারে লালন পালন করতে হয়। সাধারণত ৬ থেকে ৮ বছর বাঁচে এই প্রাণী। এই মুরগির পালনও বেশ কষ্টসাধ্য এবং জটিল। এরজন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি মুরগির সঠিক জোড়া। সঠিক জোড়া না হলে তাদের মাধ্যমে অন্য জাতের মুরগির জন্ম নিতে পারে। যার রঙ কালো না হয়ে সাদা কিংবা অন্য রঙেরও হতে পারে।

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button