খেলাধুলা

কোপার আয়োজনে ক্ষুব্ধ, কনমেবলকে ধুয়ে দিলেন কানাডা কোচ

২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে এবারের কোপা আমেরিকার আসর বসেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু আসরটির শুরু থেকে নানা অব্যবস্থাপনায় আয়োজকদের সমালোচনায় পড়তে হচ্ছে। এখন বাকি আসরের দুটি ম্যাচ, ফাইনাল ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা হবে কেবল। তার আগেই লাতিন ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলকে ধুয়ে দিলেন কানাডার কোচ জেসি মার্শ। উরুগুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নামার আগে তিনি যেন সমস্ত ক্ষোভ উগরে দিলেন।

এবারের কোপায় সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ২-০ গোলে হারে কানাডা। অন্যদিকে, উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কলম্বিয়া। দুই পরাজিত দল কানাডা-উরুগুয়ে আগামীকাল (রোববার) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কোপার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে। তার আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসা ও কানাডা কোচ মার্শ দুজনই তোপ দেগেছেন কনমেবলকে।

পুরো টুর্নামেন্টে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক’ হয়ে ছিলেন মন্তব্য করে কানাডিয়ান কোচ বলেন, ‘আমি তার (উরুগুয়ে কোচ বিয়েলসার) সংবাদ সম্মেলনের কিছুটা দেখেছি, যার কোনো কোনো বিষয়ের সঙ্গে আমি একমত। এই টুর্নামেন্ট আমার কাছে কোনোভাবে পেশাদার মনে হয়নি, অনেক বেশি অব্যবস্থাপনা ও সমস্যা। আমি সেই ঝামেলাও (কলম্বিয়া সমর্থক ও উরুগুয়ে ফুটবলারদের মারামারি) দেখেছি, আমি নিশ্চিত আমাদের কেউই পরিবার বা স্বজনদের এমন অবস্থায় দেখতে চাইব না।’

পুরো টুর্নামেন্টে অনেক বর্ণবাদী আচরণের মুখে পড়তে হয়েছে দাবি করে মার্শ বলেন, ‘টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ও সরাসরি বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছি। আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়েছে। আমি, আমরা নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা কঠোর ও আক্রমণাত্মক খেলেছি। এদিকে, প্রতিপক্ষ কোচের কাছ থেকে মাত্রা ছাড়ানোর অভিযোগও দেওয়া হয় আমাদের বিরুদ্ধে, যা খেলাটা খুবই কঠিন করে তুলেছিল।’

এ ছাড়া কোপার ম্যাচগুলোতে রেফারির সিদ্ধান্ত-ও সন্তোষজনক ছিল না বলেও অভিযোগ করেছেন এই কানাডিয়ান কোচ। জেসি মার্শ বলেন, ‘আপনি যদি কার্ডের সংখ্যা দেখেন, সাউথ আমেরিকান দলগুলোকেই বেশি কার্ড দেখানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-উরুগুয়ে ম্যাচে আমার দেখা সবচেয়ে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী রেফারিং ছিল। অনেক কিছুই আমাদের বিপক্ষে যাবে, সেটি জেনেই আমরা খেলতে নামব। তবে (সেমিফাইনালে ওঠার প্রসঙ্গে) আমরা দেখাব, কানাডিয়ান হওয়ার অর্থ কী।’

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন উরুগুয়ে কোচ বিয়েলসাও। তার অভিযোগ, ‘কনমেবল (আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিকে) স্কালোনিকে শাসিয়েছে, সে একবার স্টেডিয়াম নিয়ে কথা বলেছে, বলে দেওয়া হয় সে যেন আর এগুলা না বলে। খেলোয়াড়রা কথা বলতে পারছে না। সবাইকেই এইভাবে হুমকি দিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বলতে বলা হয়েছে মাঠ ঠিকই আছে। আসলে তা নয়। মিথ্যা এখানে মহামারীর আকার ধারণ করেছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button