জেলার খবরনওগাঁ

অধ্যক্ষ আমজাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি: শিক্ষকের বেতন আটকে রেখে ক্ষমতার অপব্যবহার!

স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁ জেলার ঐতিহ্যবাহী বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরও তিনি কলেজের বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক মো. এরশাদ আলীর বেতনভাতা আটকে রেখেছেন।

অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মো. এরশাদ আলী ২০১৫ সালে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কিন্তু ২০১৯ সালের জুন-জুলাই মাস থেকে তার বেতন বন্ধ রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একাধিক নির্দেশনার পরও অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন বেতন পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে হাজিরা খাতা গোপন করে তাকে স্বাক্ষর করতে বাধা দিচ্ছেন। এমনকি, তার পড়ানো অর্থনীতি বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। এতে করে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানা গেছে, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কলেজের সাবেক সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামানিক এবং শিক্ষক প্রতিনিধি বিধান কুমারের সাথে যোগসাজশে অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন কলেজের অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির কাগজপত্র টেম্পারিং করে পাঁচটি বিষয়ের অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক ও ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র পরিবর্তন করেছেন।

অধ্যক্ষের অনিয়ম তদন্ত করে মাউশি অধিদপ্তর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং তার এমপিও (বেতন) বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজে তার দাপট বজায় রেখেছেন।

অধ্যক্ষের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী তার স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন। তারা একইসঙ্গে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক মো. এরশাদ আলীর আটকে থাকা বেতন দ্রুত পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন।

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ ইতোমধ্যে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। জনসাধারণের একটাই প্রশ্ন—এত অনিয়মের পরও কীভাবে তিনি এখনো কলেজে দায়িত্ব পালন করছেন? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি দ্রুত ব্যবস্থা নেবে?

(সংবাদটি চলমান, বিস্তারিত জানার জন্য চোখ রাখুন আমাদের পরবর্তী আপডেটে।)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button