জাতীয়

ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ

মোঃতানজিলুল ইসলাম লাইক,

রাজশাহী প্রতিনিধি,

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার শহীদ নজমুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহাবুব আলমের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সুযোগ বুঝে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

অভিভাবকদের দাবি, সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর সিঁড়িতে একা পেয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানি করেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বিক্ষোভ চলাকালে অভিভাবকেরা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানান। তারা বলেন, “আমাদের মেয়েরা এখানে নিরাপদ নয়। বারবার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল হয়নি। আমরা চাই তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।”

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহাবুব আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির কথা বলা হচ্ছে। এটা কি করে সম্ভব? আমি আসলে এ রকম না। এটা স্কুলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এখন তদন্ত হবে, আমি ছুটি নেব।”

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক)-কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্যতা যাচাই করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিভাবকদের আমরা এ বিষয়টি জানিয়েছি।”

তবে অভিভাবকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। তাদের দাবি, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষককে স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ না নিলে ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button