ঈশ্বরদীতে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত।
পাবনা প্রতিনিধি
মোঃ রাকিব বিশ্বাস
পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু। সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) বিকেল এ র্যালিিট আয়োজন করা হয়।
র্যালিটি ফতেমোহাম্মদপুর সরকারী নাজিম উদ্দিন বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের ষ্টেশন রোড হয়ে রেলগেট খায়রুজ্জামান বাবু বাসটার্মিনালের শহীদ মিনারে এসে সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক মনোনয়ন
প্রত্যাশা জনাব জাকারিয়া পিন্টু উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলা রাখাল রাজাখ্যাত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজ হাতে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এই দলের নেতাকর্মীরা আজ পর্যন্ত দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের কান্তি কালেও বন্যা জলোচ্ছ্বাস ও মহামারীতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
আজকের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বারবার স্মরণ করছি।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অল্প কিছুদিন দেশ সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি যদি দীর্ঘ সময় দেশ সেবার সুযোগ পেতেন তাহলে এদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতেন।
তার সহধর্মিনী আপোষীণ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়। আগামী নির্বাচনে দল ক্ষমতায় এলে এদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিদেশি আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের অন্ধকার কারাগারে আটকে রেখেছিল।
বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আমাদের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। গোটা দেশটাকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিল। আজকে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা হয়েছি মুক্ত। আগামী নির্বাচনে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসন ফিরিয়ে আনতে সকল নেতাকর্মীকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা জেলখানায় নিদারুন কষ্ট করেছি। মানবতর জীবন যাপন করেছি।
রাজনৈতিক সহকর্মীরা দীর্ঘ ১৬ বছর তাদের বাড়িতে থাকতে পারেননি। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় অনেকে আহত হয়েছে। আক্রমণের শিকার হয়ে কেউ কেউ মারা গিয়েছে। সকল দ্বিধাদন্ড ও মনের কষ্ট ভুলে দলকে এগিয়ে নিয়ে কাজ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,কেন্দ্রীয় শ্রমিকদল নেতা আহসান হাবীব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির দুলাল, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন ,যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান পাতা, আমিনুর রহমান স্বপন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম হোসেন জুয়েল,
আক্কাস আলী মেম্বার , ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আশিকুর রহমান নান্নু, সাবেক কমিশনার আনোয়ার হোসেন জনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান,পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল,পৌর যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি টনি বিশ্বাস পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ নান্টু, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান ফুল জুয়েল,
খোরশেদ আলম দিপু, আক্তার হোসেন নিফা ও মাহামুদ হাসান সোনামনিসহ যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ
