জাতীয়

সংবাদ সংগ্রহে বাধা:পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্চিত,ক্ষোভ উত্তাল রাজশাহী

মোঃতানজিলুল ইসলাম লাইক

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) বরখাস্ত হওয়া আলোচিত এসআই মাহবুব হাসান শনিবার (২৩ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে নগরীর হজের মোড় এলাকায় স্থানীয় জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। গণধোলাই শেষে তাকে স্থানীয় পুলিশকে সোপর্দ করা হয়।

ঘটনার সময় সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন জাতীয় দৈনিক বর্তমান পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান,জাতীয় দৈনিক যায়যায় কালের উত্তরবঙ্গেন প্রধান প্রতিবেদক ও যুগবার্তার
রাজশাহী ব্যুরো প্রধান মো: পাভেল ইসলাম মিমুল।

তিনি বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় চন্দ্রিমা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক সাব ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন তাকে বাধা দিয়ে লাঞ্চিত করেছেন। পুলিশের এই এস আই সিভিল পোশাকে ছিলেন।

সাংবাদিক মো: পাভেল ইসলাম জানিয়েছেন,“আমি শুধু তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিলাম,কিন্তু পুলিশ বাধা দেয়ার পাশাপাশি শারীরিক হস্তক্ষেপ করেছে। এটি সাংবাদিকদের ওপর অযৌক্তিক আক্রমণ এবং স্বাধীন সংবাদ সংগ্রহের জন্য বড় হুমকি।”

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন,বরখাস্ত এসআই মাহবুব হাসান শহরে আলোচিত একটি ঘটনায় জড়িত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আর সাংবাদিকদের ভিডিও ধারনের সময় পুলিশের বাঁধা দেওয়া আইন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা ও লাঞ্ছনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম।ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা বলেছেন, “সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

সংবাদ সংগ্রহে বাধা ও শারীরিক হামলা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

রাজশাহী বিভাগীয় প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন,সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্ব। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে,উপ পুলিশ পরিদর্শক সাব ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন সোহাগ বলেন,গলায় প্রেস কার্ড ঝোলানো ছিলো না। আমি বুঝতে পারিনি।সুধু সরিয়ে দিয়েছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button