জাতীয়

দুর্গাপুরে পাঁচ দিন ধরে ছেলের বাসায় দুই সন্তানের জননীর অনশন

মোঃ তানজিলুল ইসলাম লাইক

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সূর্যভাগ এলাকায় প্রেমঘটিত সম্পর্ক ভাঙনের জের ধরে আশুরা (২৬)নামে এক নারী টানা পাঁচ দিন ধরে একই গ্রামের ছেলের ফারুকের বাড়িতে অনশন করে যাচ্ছেন। এতে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই নারী দুই সন্তানের জননী। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর সম্প্রতি ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে অন্যত্র বিয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারী শনিবার থেকে ছেলের বাড়িতে অনশন শুরু করেন।

এদিকে অনশন চলাকালীন এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে ছেলের পরিবার “চাঁদাবাজি” ছেলে নিখোঁজের করার মিথ্যা অপবাদ তুলে পার্শ্ববর্তী মোহনপুর উপজেলায় ছেলের ছোট বোনের জামাই জাহাঙ্গীর আলম কে নিয়ে ছেলের বাবা ও মা ১৯ আগস্ট একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা জানান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন। অথচ ছেলের পরিবার ও বোনজামাই ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ছেলের মা বিমলা বেগম জানানঃআমার ছেলেকে আজ ৪-৫ দিন যাবত খুঁজে পাচ্ছি না আমার বাসাতে একটি মেয়ে এসেছে বিয়ের দাবি নিয়ে তারপর থেকে আমার ছেলে নিখোঁজ সংবাদ সম্মেলন এবং চাঁদাবাজির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান এগুলো নাকি সেখানে বলতে হয় তাই তিনি বলেছেন। চাঁদাবাজির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে তিনি কিছু বলতে পারেন নাই তিনি বলেছেন আমি লোক মুখে শুনেছি টাকা দিলে নাকি বিষয়টা মীমাংসা হবে।

নিখোঁজার বিষয়ে ছেলের বন্ধু মাইনুল ইসলাম বলেনঃঘটনার দিন বুকের ব্যথা হচ্ছে বলে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে প্রথমে রাজশাহী যায়।তারপরে কানপাড়া তার বোনের বাসাতে ফারুককে আমি রেখে আসি পরে বাসায় এসে শুনি তার বাসায় আশুরা নামে এক মেয়ে বিয়ের দাবিতে এসেছে। এ শুনে সে কৌশলের শটকে পড়েছে ফারুক।

ঘটনার কারণে এলাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছেন। অনশনরত নারী জানিয়েছেন, ছেলেটি তাকে বিয়ে না করলে তিনি এখান থেকে সরবেন না।

এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে দুর্গাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন বিষয়টি আমরা শুনেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করে নাই অভিযোগ পেলে এ বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button