
প্রেম করেই ছয় মাস আগে বিয়ে করেছিলেন একই এলাকার সিয়াম ও সুমাইয়া।
ছেলের পরিবার মেনে নিলেও, এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি সুমাইয়ার বাবা হান্নান।
তিন দিন আগে, বাবার চাপে পড়ে মেয়েকে দিয়ে ডিভোর্স করিয়ে নেওয়া হয়।
গতকাল সিয়াম ও তার পরিবার ডিভোর্সের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সিয়াম।
স্ত্রী সুমাইয়াকে হারানোর কষ্ট যেন সইতে না পেরে—আজ সকালে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি।
মুহূর্তেই ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার পা।
ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই মারা যান সিয়াম।
রেল লাইনের পাশে পড়ে থাকে তার নিথর দেহ। শরীর এতটাই বিকৃত ছিল যে, প্রথমে কেউ তাকে চিনতে পারেনি।
পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, নিহত তরুণের নাম সিয়াম—তিনি খাজানগর আদেরপাড়া এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রেমের সম্পর্ককে ঘিরে পরিবারে অশান্তি এবং একতরফা বিচ্ছেদের চাপ সিয়াম মানসিকভাবে নিতে পারেননি।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে।