আইন-আদালত

আনার হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন শিমুল ভূঁইয়া

ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শিমুল ভূঁইয়া।

বুধবার (৫ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন শিমুল ভূঁইয়ার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দেন শিমুল ভূঁইয়ার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পেশাদার অপরাধী শিমুলের সঙ্গে তানভীরও এই খুনে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আনোয়ারুলকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যায় অংশ নেন। এর আগের দিন সোমবার আদালতে জবানবন্দি দেন আরেক আসামি শিলাস্তি রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে ওঠে এসেছে যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীর গত ৬ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কলকাতায় যান। সেখানে সল্টলেক ও নিউ টাউনের মাঝামাঝি এলাকায় ত্রিশিব হোটেলে ওঠেন। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে কলকাতায় নিয়ে যান।

পুলিশের তথ্য বলছে, আনোয়ারুল আজীম কলকাতায় যান ১২ মে। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন তাকে প্রলুব্ধ করে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে নেওয়া হয়। তখন ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি, শিমুল, তানভীর, তাঁদের সহযোগী জিহাদ হাওলাদার, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী প্রমুখ। খুনের আগেই আক্তারুজ্জামান ঢাকায় চলে আসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই ফ্ল্যাটেই সংসদ সদস্যকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ টুকরা টুকরা করে গুম করা হয়। তানভীর নিজে বালিশচাপা দেন বলে জবানবন্দিতে বলেন।

আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে জিহাদ হাওলাদার নামের আরেক আসামি কলকাতায় গ্রেপ্তার আছেন। সিয়াম নামে আরেক আসামি নেপালে আটক আছেন। সিয়ামকে ফিরিয়ে আনতে গত শনিবার ঢাকা থেকে পুলিশের একটি তদন্ত দল নেপালে যায়। সোমবার তারা দেশে ফিরলেও সিয়ামকে ফেরানোর বিষয়ে কোনো অগ্রগতির কথা জানাতে পারেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button