তামিম ইকবালের হার্টে কীভাবে এত দ্রুত রিং পরানো সম্ভব হলো

হার্টে রিং পরাতে কতক্ষণ লাগে
হার্ট অ্যাটাক হলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। অ্যানজিওগ্রাম করিয়ে রোগীর আক্রান্ত রক্তনালিতে রিং পরিয়ে দেওয়ার (স্টেন্টিং) প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আদতে খুব একটা সময় লাগে না, যদি রোগীর জটিলতা অনেক বেশি না হয়। আন্তর্জাতিকভাবে এটিই হার্ট অ্যাটাকের আদর্শ চিকিৎসাপদ্ধতি। তবে আমাদের দেশে অনেক রোগীকেই হাসপাতালে নিয়ে আসতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সব হাসপাতাল বা ক্লিনিকে অ্যানজিওগ্রাম এবং স্টেন্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকে না।
ট্রেইনার ইয়াকুব চৌধুরীর কৃতিত্ব
তামিম ইকবালকে অ্যাম্বুলেন্সে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার সময় মোহামেডানের ট্রেইনার ইয়াকুব চৌধুরী তাঁর বুকে পাঞ্চ করছিলেন বলে জানা গেছে। জরুরি মুহূর্তে এই কাজটিই রোগীর জীবন বাঁচায়। হঠাৎ করে কেউ কোনো সাড়া না দিলে দ্রুততম সময়ে কার্ডিও–পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) শুরু করতে হয়। বুকে পাঞ্চ করা এই প্রক্রিয়ারই অংশ। হৃৎপিণ্ড নিঃসাড় হয়ে গেলে সিপিআরের মাধ্যমে তা আবার সক্রিয় করার সম্ভাবনা থাকে। সফল সিপিআরে এভাবেই রোগীর জীবন বেঁচে যায়। ট্রেইনার ইয়াকুব চৌধুরী সময়মতো সঠিক কাজটিই করেছিলেন।
চিকিৎসকেরা যা করেছেন
সাভারের নবীনগরের কেপিজে হাসপাতালে নেওয়ার পর তামিম ইকবালকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে অ্যানজিওগ্রাম ও স্টেন্টিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। দ্রুততম সময়ে হৃৎরোগবিশেষজ্ঞ মনিরুজ্জামান মারুফ সেখানকার প্রশিক্ষিত দল নিয়ে অ্যানজিওগ্রাম, অ্যানজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং সম্পন্ন করতে পেরেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তামিম ইকবাল।