সারাদেশ

আ.লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৯ আসামি কারাগারে

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম হালদারসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৫ জুন) তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান এ নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পরিষদের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম হালদার, তার ছোট ভাই কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হালদার ওরফে খুকু, টঙ্গীবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হালদার, নজরুল ইসলাম হালদার ওরফে নাজির হালদার, রাসেল হালদার, যুবরাজ হালদার, এইচএম বাবর সবুজ হালদার, আবু কাউছার সোহেল ওরফে আবু কাউছার, আনিছ হালদার।

এর আগে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে আজ মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে নিহতের ভাই মামলার বাদী মান্নান খান বলেন, এ মামলার অন্যতম দুই আসামি রিহান ও রিজভী এখনো পলাতক রয়েছে। এর মধ্যে একজন মালয়েশিয়া চলে গেছে। তারা আমাকে মোবাইলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমাকে ১০০ কোপ দেবে বলছে। এ ছাড়া যাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে তারা মামলা তুলে নিতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল দুপুর ১২ টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ও দিঘীর পার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি সোরহাব খানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার ছেলে জনি খানকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মান্নান খান বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ১৬ এপ্রিল দুপুরে টঙ্গিবাড়ী থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button