
রাজশাহীতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে
রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া সংলগ্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত যখন করার ঘটনায় মামলার দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন অভিযুক্ত আসামিরা।
এতদিনে একজনও গ্রেফতার না হওয়ায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী আফজাল হোসেনের পরিবার।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ নগরীর শাহ মখদুম থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। ওই মামলার দুইসপ্তাহ পার হলেও আসামিদের একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন নগরীর শাহ মখদুম থানাধীন বড় বনগ্রাম মহালদার পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইট বালু ব্যবসায়ী।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, রাজশাহী মহানগরীর বড় বনগ্রাম রোডপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকের ছেলে সবুজ ৩৯ ও মেয়ে শাপলা (৩৩) সবুজের ছেলে নিরব (১৯) ও জীবন দাস ৩৬।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন গত ৩ই আগস্ট বিকেলে পৌনে ৬ টার সময় নওদাপাড়া তারা মসজিদের সামনে মটর সাইকেল নিয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এজাহার নামীয় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ছুরিকাঘাতে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালিয়ে গুরুত্ব রক্তাক্ত জখম করে এবং এলোপাথাড়ি কাঠ ও বাঁশ দিয়ে মারধর করে ছিলাফোলা ও রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকারে এলাকাবাসীর এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যাই এবং স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যায় এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভর্তি করেন। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় অবস্থান করেন।
ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় আসামিরা তারা এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হয় আমিও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনের কাছে আসামিদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তবে আসামিরা শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহমখদুম থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ হাবিবুর রহমান।
এই বিষয়ে শাহ মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুমা মুস্তারি বলেন, আসামীতো ধরার জন্য বাসায় যাচ্ছে পুলিশ।
বাদীকে সাথে নিয়ে অভিযান করা হচ্ছে বাদী নিজেও জানে রেট দেয়া হয়েছে অবশ্যই ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। ইন্সপেক্টর তদন্ত এ মামলার আয়ু তিনি এ বিষয়টি দেখছেন।